কখনো ছুঁয়ে দেখেনি তোমাকে অথচ কত সময় এক সাথে পার করেছি, পাশাপাশি হেটেছি বহু পথ- শরীরের গন্ধ পেয়েছি পুষ্পিত সৌরভের আঘ্রাণে মেতেছে শরীর মন, আন্দোলিত শাখায় নব কিশলয়ের মসৃণ জাগরণে র মতো-জেগে উঠেছে হৃদয়। তবুও তোমার হাত ধরেনি বলতে পারো ইচ্ছে থাকলেও তা পূরণ করেনি, আমি বিমুগ্ধ চেতনায় কত রাত ভেবে করেছি পার রাত জাগা পাখিদের সাথে জেগেছি বিনিদ্র প্রহর নিহারিকাদের সাথে মেতেছি উল্লাসে- সেখানে ডাকেনি তোমায় পাছে ভুল বুঝ ফিরিয়ে দাও আহবান! আমি তা কখনো চাই না। স্পর্শের চেয়ে অস্পর্শ তুমি আমারি ভাবনায় নব চেতনা, কবিতার শব্দাবলী, আমি ভুল নামে ডাকি-নাকি ভ্রম বিলাস? নামতো নামই আসল নকলে কী এসে যায়? তবুও এইতো মজা অনন্ত প্রেরণা উদৃষ্ট লক্ষ্যের মহাজাগরণ পৃথিবীর অনন্ত পথে বর্ণিল জীবন কিংবা ভালোবাসার অনন্য প্রকাশ। তোমাকে কখনো ছুঁয়ে দেখেনি পাশাপাশি বসে মাখেনি পৌষের রোদ একই চাদরের নিচে লুকাইনি শরীর বুকের তপ্ত নীরে করিনি অবগাহন তবুও তুমিইতো প্রজাপতি-সাত রঙে পাখা গোলাপী ওষ্ঠে চুম্বনের আহবান। অসহায় গোলাপের কিই বা করার আছে নীরবে আত্মসমর্পণ ছাড়া। কুয়াশা মোড়ানো শীতার্ত রাত্রে নিয়ন আলোয় দেখেছি তোমার চাহনী ভ্রুর নাচন দোলানো শরীরের উত্থান পতন, স্বপ্নিল ভঙ্গীমায় পা তোলা, হেটেছো ঘাসের কার্পেটে গাঁদা ফুলের আঙিনায় সৌরভে গৌরবে দীপ্ত শিখায় জলে উঠেছে চোখের তারা, ছিল আহবান ছিল প্রেম ভালোলাগা তবুও হয়নি ছোঁয়া অদৃশ্য ছায়ার মতো গিয়েছো সরে একটু একটু করে রাত গভীর হলে। প্রতীক্ষার মাঝে ডুবে গেছে মন নিরন্তর দিন রাত্রির ব্যাপ্তি যেখানে দূর থেকে নিয়েছে দূরে। স্বপ্নের বালু চরে সমান তালে হেটেছি দুজন কাছা কাছি তবু যোজন যোজন দূরে উত্তঙ্গু বাতাস খেলেছে চুলে-দু’হাতে সরিয়ে দিয়ে মুখ ভঙ্গিমায় বলে ছিলে “কোথায় শেষ এই পথ চলা”? অব্যক্ত কথার মাঝে হাসির ঝলক শেষে বলেছিলাম নাই নাই শেষ নাই এ অনন্ত, ঠিকানা বিহীন দূর থেকে সুদূর, নেই শোক তাপ হানাহানি আছে স্বপ্ন-ভাবনা-সুখ-কল্পনা নিরবধি, পাশাপাশি আছি থাকবো আমৃত্যুকাল কথা বলা হবে চোকাচোখি হবে, ‘হবেনা ছোঁয়া শরীর দেহ মন’।
8,575,857 total views, 3,627 views today